আলমগীর মাহমুদআজ যে ‘আমি’, সেতো মমহিউদ্দিন স্যারেরই দান, যিনি আমারে পেপার পড়া অভ্যস্ত করতে পেপারের চিরকুট কেটে দিয়ে বলতেন এইটা দেখে আসবি, কাল এখান থেকে প্রশ্ন জিজ্ঞেস করবো — স্কার্ডল্যান্ডের ইয়াডের কাহিনীর মত বই, ইয়া মোটা বই তিনিই গিলিয়েছিলেন।
স্যারের ভাইজি কাসেদ নূরের মা, মরহুম ছালেহা ফুমার মত এত বিশাল আউট বই পাঠক আমি পাইনি, পুরো পালং এ ওনার মত দ্বিতীয় কোন বই পাগল মানুষও চোখে পড়ল না, মহিলারাতো নাই বললে চলে, আমি পাইনি– এইসবই ছিল স্যারের প্রচেষ্টার ফসল।
স্যারের কাছারী ঘরটি ছিল পালং এর বইয়ের জগতে বি,বি,সি,রাজনীতির ও।
বক্তব্য দেয়া শিখিয়েছিলেন, কেমনে বললে বেশীক্ষণ বলা যাবে বুক কাঁপবে না,কথায় খেই হারাবি না — এইসব কৌশল । উনার এমন পূঁজিতে আজ আমিও আলমগীর স্যার, ভেতরে যে এসব মহিউদ্দিন স্যার বাড়িয়েছে কাউকে কি চিল্লাইয়া বলতে পেরেছি–! সুবর্ণ জয়ন্তীর বাতিঘর প্রকাশনা ছাড়া!
স্যার ক্যান্সার আক্রান্ত একদিন -কোর্টবাজারে দেখা,
পায়ে শ্রদ্ধার্ঘ জানাতেই — বেশ আফসোসে বলা, আমিতো মারাই যাবো। তুইতো সুখী হইলি না–
এই আফসোসটা রয়ে গেলো মোর! বেঁচে থাকলে তরে সুখী করতে মরিয়া হতাম, সময় নাই আর –!
এটিই ছিল আমার সাথে স্যারের শেষ কথা!
সুখী হতাম কি না জানিনা, তবে যেটুক নির্ভেজাল সুখ পেয়েছি তাও উনার এই দরদী বুলিতে,এটুকই সুখ মোর সঞ্চয়ে–
গরীবের ছেলেদের ‘ভাবনা’ – ‘স্বপ্ন ‘উপহারে – বেতনের টাকায় পড়ার খরচ যুগিয়ে যিনি শিক্ষা বিলাতেন। তিনিই আমাদের মহিউদ্দিন স্যার,-
এই উচিলায় স্যারেরে তুমি জান্নাত দাও, ইয়া আল্লাহ—
এই ফরিয়াদ দীন হীনের ঘরে প্যান্ট পরাদের.. স্যারের ছোঁয়া না পেলে যারা রাখাল, রিকসাওয়ালা, গ্যারেজের মিস্ত্রী ছাড়া কিছুই হওয়ার ছিল না এই চাওয়া তাদের!
তথ্য : শরীফ আজাদ স্যারকে নিয়ে করা পোস্টের কমেন্টে দেয়া আমার কমেন্টটি নুতন করে দৃষ্টি সীমানায় দেয়া…
লেখক: বিভাগীয় প্রধান। সমাজবিজ্ঞান বিভাগ। উখিয়া কলেজ কক্সবাজার ।
alamgir83cox@gmail cox@gmail.com
মন্তব্য করুন