সবুজ বড়ুয়া :
পর্যটন নগরী কক্সবাজার তথা পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের তীর ঘেষে পূর্বদিকে সৈকত পাড়ায় অবস্থিত অতীশ দীপংকর বৌদ্ধ বিহার ও মেডিটেশন সেন্টার (হোয়াইট টেম্পল) মানবিক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হবে বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক কে শ্রী জ্যোতিসেন থের।
২৩ আগষ্ট (শুক্রবার) সংঘদান ও বৃক্ষরোপন শেষে কে শ্রী জ্যোতিসেন থের বলেন, ২০১৪ সালে ২০ শতাংশ জায়গার উপর নির্মিত হোয়াইট টেম্পল শুধু বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীর জন্য সীমাবদ্ধ না। সকল ধর্মাবলম্বী মানুষের জন্য হোয়াইট টেম্পল মানবীয় প্রতিষ্ঠান। প্রতিদিন অসংখ্যা মুসলিম হিন্দু খ্রিস্টান সহ দেশি-বিদেশী পর্যটক দুর-দুরান্ত থেকে ভ্রমণ করতে আসেন। পর্যটকদের জন্য রান্না করে খাবারও সুব্যবস্থা রয়েছে।
তিনি বলেন, অতীশ দিপংকর দুই বাংলার বাঙালীদের মধ্যে একজন অন্যতম অধ্যাপক ও ধর্ম প্রচারক ছিলেন। ঢাকার বিক্রমপুরে ৯৮২ সালে জন্মগ্রহণ করা এ বাঙালীর নামানুসারে অতীশ দীপংকর বৌদ্ধ বিহার ও মেডিটেশন সেন্টার (হোয়াইট টেম্পল) নামকরণ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, হোয়াইট টেম্পল এমন একটা নান্দনিক প্রতিষ্ঠান হবে, যেখানে সর্ব ধর্মের মানুষের চিত্তের উৎকর্ষতা সাধন করে সাধারণ মানুষের মনে স্থান করে নিবে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মজবুত হবে মানুষের মনে। বৃদ্ধাশ্রম, গবেষনাগার, দাতব্য চিকিৎসালয় ও পার্শবর্তী শিশুদের সুবিধার্তে স্কুল হবে তা দৃঢ় আশা ব্যক্ত করেন। তিনি গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি সকল ধর্মের লোকদের সহযোগিতা কামনা করেন।
কক্সবাজার সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক ও গ্রন্থ প্রণেতা বোধি মিত্র বড়ুয়া বলেন, জ্ঞান চর্চা ও মানষিক বিকাশে হোয়াইট টেম্পল গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে।
পর্যটন নগরী কক্সবাজার অবস্থিত নান্দনিক হোয়াইট টেম্পল পরিদর্শন ও ত্রৈ-মাসিক বর্ষবাস উপলক্ষে সংঘদান ও বৃক্ষরোপনে এসে মধ্যরত্না বৌদ্ধ যুব মৈত্রী পরিষদের সভাপতি বিজন বড়ুয়া বলেন, এ হোয়াইট টেম্পল দেশের পাশাপাশি বর্হিবিশ্বে পরিচিতি করতে হবে।
সংঘদান, বৃক্ষরোপন ও প্রদীপ প্রজ্জলনের সময় উপস্থিত ছিলেন মধ্যরত্না বৌদ্ধ যুব মৈত্রী পরিষদের ৭০ জনের পূণ্যার্থীদল, বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসা ৫ শতাধিক পূণ্যার্থী ও পর্যটক।
উল্লেখ্য, হোয়াইট টেম্পলের নাম অনুসারে পুরো স্থাপনা সাদা (হোয়াইট) এমনকি টিনও সাদাা করা হয়।
মন্তব্য করুন