তারপর আরও কিছুটা সময় গেল,
সেদিন ছিলো তোমার মেয়ের জন্মদিন।
সোফায় বসে চা পান করছি,
সেই মূহুর্তে ভেসে এলো,”মেহেদি পাতা দেখেছো নিশ্চয়ই,
বাইরে সবুজ,ভেতরে……..”।
চট করে মুখ তুলে চাইলাম,তোমার চোখে জল।
রাস্তার শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে সেদিন শেষ কবিতা যখন পড়ছিলাম,
ততক্ষণে তোমার রিক্সার প্যাডেল ঘুরতে শুরু করেছে।
তর সইছিলো না তোমার।
দু’মিনিট সময় থাকলেই শুনে যেতে পারতে,
শেষ লাইনগুলো।
উপায় না দেখে চিৎকার করেই শুনিয়েছিলাম,
“অন্তরে তবু তুমিই রবে,হোমবহ্নি সম”।
ধারনা ছিলো তোমার কোন ক্ষতি হয়নি।
প্রত্যেকদিন ভোরে তোমার শরীর স্পর্শ করা স্নানের জল
ঠিকই গড়িয়ে যায়,স্নানঘরের মেঝে মারিয়ে পাতালে,
তোমাকে দেয়া ভালোবাসা,জলের স্রোতের সঙ্গে মিশে,
ভূগর্ভস্থ হয়,পাতাল পুরিতে খোঁজে নিজের অস্তিত্ব।
একদিন যা না করার মত অপরাধ করেছিলে,
আজ তার প্রায়শ্চিত্ত হলো।
সেদিন যে ভালোবাসাকে ধিক্কার জানিয়েছিলে
আজ সে তার শোধ নিলো।
প্রত্যাখ্যাত ভালোবাসা বেঁচে আছে চোখের জলে,
এর চেয়ে তৃপ্তির আর কি হতে পারে!??
কুতুপালং, উখিয়া।
১১.০৫.২০১৯
মন্তব্য করুন