পেটের আগুনে পোড়ে সোনার দেহ, তারপর ঘরদোর,
পালিয়ে যেতে চাই, কোন দেশে যাবো? কোন সে শহর?
পরিচিত বাহুজোড়ায় বিশ্বাস করে মানুষের কাছে গিয়েছিলাম,
ওখানে মমতা নেই, সাধ নেই, স্নেহ নেই, ফুল পাখি গান নেই,
রক্তচোষা গিরগিটি গোপনে খায় হাড়, মাংশ সমেত।
তারপর খায় কবিতা,
এক ভয়ানক গ্লানিমাখা আকাঙ্ক্ষা নিয়ে পরে থাকে
বোধের কন্কাল, হলুদ চোখ মগজ গলে বেরিয়ে আসে,
বোধ নেই, স্থিতি নেই, যেন দাঁড়িয়ে আছি অনাহারী নক্ষত্র।
ওর নষ্ট চোখে চাখে অভাবী মানুষের জীবনের জোৎস্না,
ওর চতুর স্বভাব খেয়ে নেয় মানুষের ঘরের দাওয়া,
ওর বর্ণচোরা শরীর জীবনের শাখা থেকে চুরি করে কৃষ্ণচুড়া।
আমার ঘরের দাওয়ায় অপেক্ষা করে থাকে সোমত্ত স্ত্রী,সন্তান।
রাতের ভুতুরে আলোর ভেতর দিয়ে প্রত্যেকবার বাড়ি পৌঁছে দেখি
ছেলের সুতির ফতুয়ার ফুটটা বড় হচ্ছে,খুব সম্ভব এবছরই শেষ,
এরপর কোন একদিন সে এটা ছুড়ে ফেলে দেবে।মনের ভিতর
আগুন জ্বলবে,তবুও সে জমে যাওয়া পাথরের মত চুপ থাকবে।
এইসব আমি গোপন রাখি।
ফুলেল পোষাকে ঢাকা রক্তচোষা গিরগিটি
সূর্যহীন,চন্দ্রহীন কালো অন্ধকারসম অভাবী জীবনে
লুকিয়ে রাখে তার সুদীর্ঘ জিহ্বা,
সময় বুঝে লকলকিয়ে উঠে রক্তভূক পেশি
তারপর ছিড়ে খায় পাণ্ডুর দেহ থেকে মাংশের চাক,
ছিড়ে খায় সুখ,
চুষে নেয় জীবন থেকে প্রিয়তম কবিতার অজস্র পঙক্তি।
মন্তব্য করুন