ক্যাম্পাস রিপোর্ট :
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ “বেসিক ক্লিয়ার নাই ” নামে একটি লেকচার সিরিজের আয়োজন করেছে। সেখানে রুশাদ ফরিদী স্যার আগামীকাল রবিবার (১ ডিসেম্বর ২০১৯) দুপুর ১২ টায় ” পরিসংখ্যানের প্রথম পাঠ ” নিবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সিড়িতে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক রুশাদ ফরিদী। প্ল্যাকার্ড হাতে তিনদিন দাঁড়িয়ে ছিলেন বিভাগীয় চেয়ারমযানের অফিসের সামনে । দেখে মনে প্রশ্ন জাগাটাই স্বাভাবিক কেন একজন শিক্ষককে ক্লাসে ফিরে যাওয়ার জন্য প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাবি জানাতে হচ্ছে ! কারণটা হলো বিশ্ববিদ্যালয় প্রসাশনের দায়িত্বহীনতা, দলীয় শিক্ষক রাজনীতি ও অপশিক্ষা নিয়ে কথা বলা ।
২০১৭ সালের জুলাই মাসে রুশাদ ফরিদী স্যার বিভাগের শিক্ষকদের বিভিন্ন অনিয়ম, ক্লাসে অনুপস্থিত থাকা, যথাযথ মূল্যায়ন না করা, নিয়মিত রেজাল্ট না দেওয়া ইত্যাদি বিষয়ে চেয়ারম্যানের কাছে ৭ টি দরখাস্ত করেন । তারপর তিনি ৭ জুলাই জাতিয় দৈনিকে “উল্টো পথে কি শুধুই বাস?” শিরোনামে একটি কলাম লিখেন । যেখানে তিনি প্রসাশনের চরম দায়িতহীনতা ও অনিয়মের কথা বলেন। তিনি লিখেছেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল অবদান যেখানে রাখার কথা জ্ঞান সৃষ্টি, জ্ঞান বিতরণ এবং সামগ্রিকভাবে জ্ঞানচর্চা, সেই জায়গায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কোথায় আছে? “
এই লিখা প্রকাশের পরেই ১৩ জুলাই তৎকালিন উপাচার্য অ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের উপস্থিতিতে এক সিন্ডিকেট সভায় তাকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবু সে অনিয়মের কাছে মাথা নত করেনি । তিনি হাইকোর্টে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রিট করেন যার শুনানি হয় এই বছরের ২৫ অগষ্ট। যেখানে সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করে তাকে ক্লাসে ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার জন্য বলা হয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে । রায়ের সংক্ষিপ্ত বিবরণ সহ আইনজীবীর সনদপত্র ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তিনি ২১শে নভেম্বর অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যানের কাছে জমা দিলেও তাকে এখনো ক্লাসে ফিরে যেতে দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
একজন শিক্ষকের কাজ ক্লাস নেওয়া তিনি সেটাই করবেন। এই সিড়ি, বারান্দা, পৃথিবীর প্রতিটা প্রাঙ্গণই তার ক্লাস আর সবাই তার শিক্ষার্থী । তিনি শিক্ষক হয়েও আজ ক্লাসে ফিরে যেতে পারেনি তাই বলে থেমে যাবেনা তার ভেতরকার দুর্বার স্পৃহা।
মন্তব্য করুন