।।সংবাদদাতা।।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নিকারুজ্জামান চৌধুরীর বলেছেন, রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবেলায় স্থানীয়দের সঙ্গে রেখে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। অনেকক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে যে স্থানীয়রা উপেক্ষিত হচ্ছেন। যেহেতু রোহিঙ্গা সঙ্কটের কোন আশু সমাধান নেই। তাই সকলক্ষেত্রে স্থানীয়দের গুরুত্ব দিয়ে এই সঙ্কটের মোকাবেলা করার বিষয়টি সকলকে মাথায় রাখতে হবে।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ ২০১৯) বিকেলে কক্সবাজারের ঝাউতলাস্থ একশনএইড বাংলাদেশের অফিস পরিদর্শন করতে এসে তিনি এই মন্তব্য করেন। এসময় একশনএইড বাংলাদেশের হেড অব হিউম্যানেটেরিয়ান রেসপন্স মোহাম্মদ আব্দুল আলীম, এডভাইসার-রোহিঙ্গা রেসপন্স এস এ হাসান আল ফারুকসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
চাকরি ও সুযোগ-সুবিধার ক্ষেত্রে স্থানীয় যুবকদের বিশেষ করে উখিয়ার স্থানীয়দের গুরুত্ব দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গা সঙ্কটের কারণে যেসব মানুষ বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন, যোগ্যতার ভিত্তিতে তাদেরকে যাতে সুযোগ দেওয়া উচিত। আমরা এই বিষয়টি সব সময় মাথায় রাখবো। আগামীতে কোন প্রজেক্টের আবেদন করার সময় উখিয়ার তরুণদের নিয়ে কোন প্রজেক্ট করা যায় কী না সে বিষয়টি বিবেচনায় রাখার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।
নারীদের এগিয়ে যাওয়াটা সমাজের সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে মোহাম্মদ নিকারুজ্জামান আরও বলেন, নারীদের অবদানের কারণেই আমাদের জীবন-যাপন এতোটা সহজ ও সচ্ছন্দ্যময় হয়েছে। মানুষ হিসেবে নারীদের প্রাপ্য সম্মান ও মর্যাদা আমাদের দেয়া উচিত। নারীদের উদ্দেশ করে যেসব নেতিবাচক শব্দ প্রয়োগ ও কথা-বার্তা হয়, সেগুলো বন্ধ করা উচিত।
একশনএইড বাংলাদেশের হেড অব হিউম্যানেটেরিয়ান রেসপন্স মোহাম্মদ আবদুল আলীম বলেন, একশনএইড বাংলাদেশ শুরু থেকেই স্থানীয়দের গুরুত্ব দিচ্ছে। ভবিষ্যতে তরুণদের নিয়ে কার্যক্রম বৃদ্ধির জন্য তিনি সরকারসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
এসময় আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে একশনএইড বাংলাদেশের কক্সবাজার অফিসের অভ্যন্তরীন অনুষ্ঠান চলছিল। শুক্রবার ৮ মার্চ ২০১৯ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে এই অভ্যন্তরীন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রতিবছর ভিন্নধর্মী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করে একশনএইড বাংলাদেশ। বুধবার ৬ মার্চ ২০১৯ ঢাকায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সংগীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তনে ‘শব্দে জব্দ নারী’ শীর্ষক প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। এবারে শব্দের মাধ্যমে কিভাবে নারীর ক্ষমতায়নের পথ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে তা দেখাতে চেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এজন্য নারীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, পাঠ্যপুস্তক, সিনেমা এবং প্রাত্যহিক জীবনে যে ধরনের অবমাননাকর শব্দের শিকার হন তার প্রদর্শনীর আয়োজন করে প্রতিষ্ঠানটি। একইসঙ্গে বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে আয়োজন করা হয় একটি আলোচনার। অনুষ্ঠানটির শিরোনাম তাই রাখা হয় ‘শব্দে জব্দ নারী’।
মন্তব্য করুন