মুহাম্মদ জামাল উদ্দিন :
জসিম আজাদের সাথে আমার পরিচয় এবং ঘনিষ্টতার পটভূমিটা জীবন চলার পথে হঠাৎ-ই চলে আসা এক কালবৈশাখী ঝড়ে। যে ঝড়ের তীব্রতর বেগ আমাদের বানিয়েছিল নিষ্ঠুরতম নিঃসঙ্গ জীবনে সবচেয়ে কাছের স্বজন। প্রচন্ড মানসিক যন্ত্রনাময় এবং বিরক্তিকর সেই সময়ের সকাল সন্ধ্যার প্রতিটি ক্ষণে সাহস যোগাতাম একে অপরকে। কেবল সেটাই ছিল আমাদের মানসিক দৃঢ়তার অন্যতম কারন। তা না হলে কবেই যে অদৃশ্য হয়ে যেতাম! সেসময় তাকে খুব কাছ থেকে দেখেছি বলে তাকে নিয়ে আমার মূল্যায়ণের কোন উপমা-ই যথেষ্ট নয়। কেবল এটুকু জানি, জসিম আজাদ আমার জীবনের সাথে এক অনাকাঙ্খিত দুঃসময়ে মিশে যাওয়া সরল সাহসী এবং বহুগুণে গুণান্বিত এক যুবকের উৎকৃষ্টতম উদাহরন।
শুধু তাই নয়। আমার দৃষ্টিতে—
প্রতিকূলতার নিদারুন বাস্তবতার মাঝেও দমে না যাওয়া এক সাহসী যুবকের নাম জসিম আজাদ।
তথাকথিত সঙ্গতির নামে সমাজে দৃশ্যমান সব অসঙ্গতির মূলে কুঠারাঘাত করে শত বাঁধা বিপত্তি এবং ঝড়ঝাপটার মাঝেও ভয়ে ভীতু না হয়ে সত্য ও সুন্দরের পক্ষে বিরামহীন লিখে যাওয়া এক সাহসী কলম সৈনিকের নাম জসিম আজাদ।
ভাল মানুষের মুখোশ পরে সমাজে ঘাপটি মেরে থাকা মাদক কারবারী ও পুঁজারীদের মনে লেখনীর মাধ্যমে ভয়ের কম্পন তৈরী করে দেওয়া এক সাহসী সাংবাদিকের নাম জসিম আজাদ।
কখনোকখনো বঞ্চিতের অধিকার অাদায়ে নেপথ্যে তারুন্যের মস্তিস্কে প্রতিবাদের সাহস যোগানো এক অাদর্শের নাম জসিম আজাদ।
আজ আমার প্রিয় সেই জসিম আজাদের জন্মদিন। দুরে আছি বলে কাছ থেকে শুভেচ্ছাটা জানাতে পারলামনা। তাই আমার এই ক্ষুদ্র লেখা। যদি এ লেখা তোমার সত্য অনুসন্ধানী দৃষ্টির গোচরে আসে, তবে বুঝে নিও আমি তোমার সম্মুখপানে দাঁড়িয়ে বলছি, “শুভ জন্মদিন জসিম।”
ভাল থেকো, সুস্থ থেকো আগামীর দিনগুলোতে।
আল্লাহ তোমাকে নেক হায়াত দান করুক।
লেখক : ম্যানেজার, ব্যাংক এশিয়া, মাতারবাড়ি শাখা।
মন্তব্য করুন