শরিফ আজাদ :
উখিয়ার রত্নাপালং ইউনিয়নের পূর্ব রত্না গ্রামের কুয়েত প্রবাসী ব্রোকেন বড়ুয়ার বাড়িতে শিশুসহ ৪ জনকে জবাই করে নিশংস হত্যার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ পুলিশ বিভাগের চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি আবুল ফয়েজ।
তিনি শুক্রবার বিকেলে পরিদর্শনে এসে ৪ ঘন্টা ব্যাপী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ওই সময় নিশংস হত্যাকাণ্ডের আলামত স্বচক্ষে পর্যবেক্ষণ করেন। এছাড়াও কুয়েত ফেরত রোকেনে সাথে কথা বলেন এবং তার কথা ধৈর্য্য সহকারে শুনেন। এছাড়াও প্রতিবেশী এবং আত্মীয়-স্বজনদের হত্যাকাণ্ড বিষয়ে কথা বলেন।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ইকবাল হোসেন সরকারি পুলিশ সুপার নিহাদ আদনান তাইয়ান উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আবুল মনসুর ওসি তদন্ত নুরুল ইসলাম মজুমদার ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফারুক হোসেন, রত্নাপালং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খায়রুল আলম চৌধুরী, স্থানীয় মেম্বার ডাক্তার মুক্তার আহমদ এবং মহিলা মেম্বার আঞ্জুমান ইয়াসমিন চৌধুরী।
পরিদর্শন শেষে চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরক্ত ডিআইজি আবুল ফয়েজ সন্ধ্যা ৭ টায় সাংবাদিকদের এক প্রেস ব্রিফিং কালে বলেন, মর্মান্তিক ও নৃশংস হত্যাকান্ডের ক্লু উদঘাটনে আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। আমাদের কাছে অনেক ক্লুর সন্ধান এসেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এ মুহূর্তে কিছু বলা যাচ্ছে না। সাংবাদিকদের অপর প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, মামলাটি যেহেতু স্পর্শ কাতর তাই পুলিশের পাশাপাশি সিআইডি পিটিআই সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনেক উইং তদন্ত কিংবা ঘটনা উদঘাটনে কাজ করবে। তবে যেকোনো সময় পুলিশ তদন্তের অগ্রগতির স্বার্থে কোন সংস্থাকে মামলা হস্তান্তর করতে পারে। তখনো পুলিশ বসে থাকবে না। চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি আবুল ফয়েজ সাংবাদিকদের বলেন আমার ৩০ বছর চাকরি কালীন সময়ে এ ধরনের পৈশাচিক ও নিশংস হত্যাকাণ্ড আমি কখনো দেখিনি। আমরা অচিরেই এই হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কিলার কে সনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার রাতে ওই গ্রামের কুয়েত প্রবাসী রুপেন বড়ুয়ার মা সখি বড়ুয়া ও তার স্ত্রী মিনা বড়ুয়া পুত্র সন্তান রবিন বড়ুয়া ও ভাতিজি সনি বড়ুয়াকে একসাথে জবাই করে নির্মমভাবে হত্যা করে।
মন্তব্য করুন