।।বিশেষ প্রতিবেদক।।
কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সরকারি নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দেশী বিদেশী এনজিও গুলোতে রোহিঙ্গাদের উচ্চ বেতনে চাকুরিতে নিয়োগের নানান অভিযোগ পাওয়া গেছে। যার ফলে রোহিঙ্গারা একদিকে ফ্রি ত্রাণের পাশাপাশি এনজিওতে চাকরী করে এখন অনেকটাই সাবলম্বী হয়ে উঠেছে। আর অন্যদিকে অসহায় হয়ে পড়ে আছে উখিয়ার স্থানীয় শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীরা।
অভিযোগে বলা হয়, উখিয়া-টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত দেশী-বেদেশী এনজিও সংস্থা গুলোতে রোহিঙ্গাদের একই পোস্টে উচ্চ বেতনে নিয়োগ দিয়ে স্থানীয়দের ছাটাই করার অভিযোগসহ প্রমাণ পাওয়া গেছে, এবং যোগসাজশে রোহিঙ্গাদের সাথে নিয়ে একটি সিন্ডিকেট ত্রাণের ব্যবসা কার্যক্রম চালাচ্ছে। যার একটি উদাহারণ দেশীয় বেসরকারী এনজিও সংস্থা ব্র্রাক এর জিএফডি প্রজেক্ট, যে প্রজেক্টে এর দাতা সংস্থা ডব্লিউ এফপি(WFP)।
সম্প্রতি ব্র্রাক ‘জিফডি’ প্রকল্পে কমিউনিটি অরগানাইজার (CO) পদে ৯ জন বাংলাদেশী এবং একই পোস্টে ৯ জন রোহিঙ্গা সহ অসংখ্য রোহিঙ্গা Volunteers নিয়োগ দিয়েছে। যেখানে পিসি হিসেবে ঠায় পেয়েছে উখিয়ার স্থানীয় আবদুল্লাহ আল মামুন শাহীন সহ মাত্র ৩ জন লোক।
এতে চরমভাবে ক্ষিপ্ত হয়ে আজ সকাল ১০.০০ ঘটিকার সময় উখিয়ার কুতুপালং-এ স্থানীয় উখিয়ার একঝাক তরুণ একত্রিত হয়ে স্থানীয়দের অধিকার আদায়ে ব্র্যাকের ‘জিএফডি’ প্রকল্প অফিসে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে ধর্মঘট করে।
উল্লেখ্য যে, তারা সবাই দীর্ঘদিন ধরে উখিয়া কুতুপালুং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জিএফডি প্রজেক্টে কর্মরত ছিলো। সম্প্রতি তাদের এনজিও সংস্থা থেকে ছাটাই করা হয়।
স্থানীয় যুবকরা আমাদের সিবিএন কে জানান, তাদের অধিকার ফিরিয়ে না পাওয়া পর্যন্ত এই ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে বলে হুুুশিয়ারী সংকেত দেন।
মন্তব্য করুন