ডিবিডিনিউজ ডেস্ক : প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে পৃথিবীব্যাপী মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৭ হাজার ৪১৭ জনে দাড়িয়েছে। অন্যদিকে আক্রান্তের সংখ্যা ৬ লক্ষ ৯০১ জন। এদের মধ্যে চিকিৎসা গ্রহণ করে সুস্ত হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লক্ষ ৩৩ হাজার ৩৭৩ জন। রোগীর অবস্থা খারাপ এমন রোগীর সংখ্যা ২৩ হাজার ৫৫৯ জন।
এই ভাইরাসে এ পর্যন্ত বাংলাদেশে ৪৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এর ভিতর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৫ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ৫ জন। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার ভয়ে অঘোষিত লকডাউন চলছে। এর ভিতর ১ জনের অবস্থা খারাপ।
এদিকে করোনা ভাইরাসে শুধু চীনে মৃতের সংখ্যা দাড়িয়েছে ৩ হাজার ২৯৫ জন । বাকিরা ইতালি-যুক্তরাষ্ট্র-ইরানের নাগরিক। এর ভিতর ইটালীর ৯ হাজার ১৩৪ জন নাগরিক মারা গেছেন বলে ইটালির তরফ থেকে জানানো হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা ৮৬ হাজার ৪৯৮ জন এবং সুস্থ্য হয়েছেন ১০ হাজার ৯৫০ জন।
নতুন করে সংক্রমন বাড়ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে সংক্রমনের শিকার হয়েছেন ১ লাখ ৪ হাজার ২৫৬ জন। মারা গেছেন ১ হাজার ৭০৪ জন। ধারণা করা হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক করোনা ভাইরাসের নতুন ঠিকানা।
আক্রান্ত প্রাণহানির দিক থেকে সবচেয়ে বেশি ইতালি এরপর স্পেন, ফ্রান্স, জামানী ও ইরান আছে। স্পেনে আক্রান্তের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৭১৯ জন এবং মৃতের সংখ্যা দাড়িয়েছে ৫ হাজার ১৩৮ জনে এবং সুস্থ্য হয়েছেন ৯ হাজার ৩৫৭ জন । এছাড়া ইরানে আক্রান্ত ৩২ হাজার ৩২২ জন এবং মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ৩৭৮ জন।
মৃতের সংখ্যা বেড়েছে ফ্রান্সে। ফ্রান্সে আক্রান্ত ৩২ হাজার ৯৬৪ জনের বিপরীতে ১ হাজার ৯৯৫ জনের প্রাণহানীর ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া সুইজারল্যান্ডে আক্রান্ত ১২ হাজার ৯২৮ জন এবং মৃত্যূবরণ করেছে ২৩১ জন।
তবে সবচেয়ে আশার আলো দেখাচ্ছে জার্মানী। কারণ জার্মানীতে আক্রান্তের সংখ্যা বিশাল হলেও মৃতের সংখ্যা সেই তুলনায় নগন্য বলা চলে। জার্মানীতে আক্রান্ত যেখানে ৫০ হাজার ৮৭১ সেখানে মৃতের সংখ্যা মাত্র ৩৫১ জন।
অনেকে এটাকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধও বলছেন, তবে এখানে সমস্যা একটাই সেটা হচ্ছে শত্রু অদৃশ্য। যার পিছনে প্রায় পৃথিবীর প্রতিটি দেশ হাত ধুয়ে নেমে পড়েছে।
এখন পর্যন্ত ১৯৯দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। নতুন করে সংক্রমণের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গুগল ফেসবুক অ্যামাজন মাইক্রোসফট এলাকার কর্মীদের বাসায় বসে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানগুলো। এছাড়া বিশ্বের প্রায় সব দেশ লকডাউন পদ্ধতি অবলম্বন করছে।
পার্শ্ববর্তী প্রতিবেশি দেশ ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী ভারতে পর্যন্ত ৯০২ জন আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ভারতজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে আতঙ্ক। মারা গেছেন ২০ জন অপরদিকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৮৩ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান শহরের একটি বন্যপ্রাণীর বাজার থেকে ছড়িয়ে পড়ে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস। একপর্যায়ে এই ভাইরাস নিয়ে বিশ্বজুড়ে জরুরি স্বাস্থ্য পরিস্থিতি (হেলথ ইমার্জেন্সি) ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এখন পর্যন্ত অন্তত ২৪টি দেশে শনাক্ত হয়েছে এই ভাইরাস।
মন্তব্য করুন