।।জাতীয় ডেস্ক।।
দেখতে দেখতে অর্ধশত বছর পেরিয়ে গেল। প্রিয় নেতা ১৩টি বছর পাকিস্তানের কারাগারে কাটিয়েছেন। কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে বসে যে নেতা প্রিয় মাতৃভূমি বাংলার ছবি হৃদয় দিয়ে এঁকেছেন, তাকে জাতির পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞচিত্তে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়। দিনটি আমার জীবনে সবচেয়ে স্মরণীয় দিন, সমস্ত বাঙালির জীবনে স্মরণীয় দিন।
জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধির ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ এমপি।
টিএসসিভিত্তিক সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো এই আলোচনার আয়োজন করে।
বঙ্গবন্ধু উপাধি দেওয়ার প্রেক্ষাপট বর্ণনা করতে গিয়ে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘১৯৬৯-এর ৪ জানুয়ারি ডাকসুর ভিপি হিসেবে আমার সভাপতিত্বে এবং সতীর্থ ছাত্র সংগঠনের নেতাদের উপস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন করে ১১ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করি। এরপর ১৭ জানুয়ারি আন্দোলন শুরু করি। ২০ জানুয়ারি শহীদ আসাদের রক্তাক্ত জামা হাতে নিয়ে শপথ গ্রহণ করি। ২৪ জানুয়ারি মতিউর-মকবুল-রুস্তম-আলমগীরের রক্তের মধ্য দিয়ে সেই আন্দোলন সর্বব্যাপী গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি করে।’
তিনি বলেন, ১৫ ফেব্রুয়ারি সার্জেন্ট জহুরুল হক ও ১৮ ফেব্রুয়ারি ড. শামসুজ্জোহা নিরাপত্তা বাহিনীর বুলেটে নির্মমভাবে নিহত হলে বাংলার মানুষ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। ২১ ফেব্রুয়ারি পল্টনের মহাসমুদ্রে আমরা বঙ্গবন্ধুসহ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় আটক সবার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে স্বৈরশাসকের উদ্দেশে আলটিমেটাম দিই। জনরোষের ভয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি আইয়ুব সরকার মামলা প্রত্যাহার করে বঙ্গবন্ধুসহ সব রাজবন্দিকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। পরে ২৩ ফেব্রুয়ারি রেসকোর্স ময়দানে ১০ লক্ষাধিক জনতার সামনে আমি তাকে বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত করি। আসন্ন ডাকসু নির্বাচন প্রসঙ্গে সাবেক ভিপি বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে ২৮ বছর পর ডাকসু আবার নতুন নেতৃত্ব পাবে।
সভায় ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি এসএম রাকিব সিরাজীর সঞ্চালনায় টিএসসিভিত্তিক সংগঠনগুলোর নেতারা ছাড়াও ছাত্রলীগের বিভিন্ন হল ইউনিটের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন