শরীফ আজাদ :
উখিয়া রেন্জের আওতাধীন উত্তর পুকুরিয়া এলাকায় প্রভাবশালীদের নাম ভাঙ্গিয়ে নির্বিচারে পাহাড় কেটে বাড়ী নির্মান ও সরকারী বনভুমি ক্রয়- বিক্রয়ের অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সচেতন মহল বলেন, উখিয়া রেনজে সরকারী পাহাড় কেটে বাড়ি তৈরির প্রতিযোগিতা চলছে। সরকারি আইনকে অমান্য করে সিন্ডিকেট চক্র পাহাড়ের মাটি অবৈধ ভাবে কেটে ট্রাক, ডাম্পার যোগে বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করছে। আবার এসব জায়গা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ক্রয়-বিক্রয় ছলছে। প্রতিবাদ করতে গেলে প্রভাবশালী মহল মামলার হুমকি দেয়। বিট কর্মকর্তারা দেখেও না দেখার ভান করছেন। যেন তারা কিছুই দেখেনি।
সরজমিনে এলাকা পরিদর্শন জানা যায়, অছিউর রহমান নামের এক ব্যাক্তি সরকারী বনভুমি নিজেই বিক্রয় করেছে পশ্চিম দিঘীলিয়ার বদিউর রহমান মিস্ত্রীর ছেলে বেলাল আহাম্মাদ ও জালাল আহাম্মদকে। বেলাল ও জালালের স্ত্রীদের কাছ থেকে জানতে চাইলে বলেন, আমরা ৪০ শতক জায়গা কিনেছি। ১৫ দিন আগে এই জায়গা অছিউর রহমানের কাছ থেকে ৩,৫০,০০০ (তিন লক্ষ পজ্ঞাশ) টাকায় কিনে ঘর করে থাকছি। কাগজ করে জায়গা কিনেছি। সরকারী জায়গা কেন কিনেছে জানতে চাইলে বলেন সরকারী জায়গা সবাই কিনছে। আমরা কিনলে সমস্যা কোথায়? জালালের শশুর হাসেম ও অছিউর রহমানের কাছ থেকে সরকারী বনভুমির জায়গা ক্রয় করেছে বলে জানা গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকেই বলেন, এলাকাবাসী পাহাড় কর্তন ও মাটি পাচারে বাধা দিলে উল্টো তাদেরকে মামলার হুমকি দেয়। অনেকে চেয়ারম্যান ও ভাইচ চেয়ারম্যানের নাম ভাঙ্গিয়ে দাপড়িয়ে বেড়ায়। প্রকাশ্যে অবৈধ পাহাড় কাটার দৃশ্য দেখলে মনে হবে সরকারী বনবিভাগ বলে উখিয়াতে কিছু নেই। বন বিভাগ নীরব ভূমিকা পালনের কারন জানেনা এলাকাবাসী।
ওয়ালাপালং বিট কর্মকর্তা বজলোর রহমান জানান, আমি ঘটনা শুনেছিলাম, তবে যাওয়ার সময় হয়নি। আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আপনাদের জানাব। রেইন্জ কর্মকর্তা বলেন, ইতিমধ্যে পাহাড় কাটার অভিযোগে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে জড়িতদের গ্রেপ্তারসহ সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বন বিভাগের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে বিভিন্ন সময় লোক বলের কারনে এবং স্হানীয় কিছু প্রভাবশালীদের কারনে সমস্যায় পড়তে হয়।
স্থানীয় সচেতন নাগরিক সমাজ, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও সরকারি পাহাড় গুলো সুরক্ষা করতে অবিলম্বে পাহাড় কর্তন করে মাটি পাচার ও সরকারী জায়গা ক্রয়-বিক্রয় বন্ধের জন্য বিভাগীয় বন কর্মকর্তার নিকট দাবি জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন