শরীফ আজাদ :
উখিয়ার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ম শ্রেণীর ছাত্রীকে ক্লাস রোমে যৌন হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, উপজেলার হলদিয়া পালং ইউনিয়নের পশ্চিম হলদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী জুই’কে ২০ সেপ্টম্বর (শুক্রবার) সকাল ১০টায় পরীক্ষার নোট দেওয়ার কথা বলে বিদ্যালয়ে ডেকে নিয়ে ক্লাস রোমের দরজা বন্ধ করে জোর পূর্বক শীলতাহানী করেন সহকারী শিক্ষক হারুনুর রশিদ।
এই বিষয়ে জুই বলেন, আমার মামার মোবাইলে হারুন স্যার ফোন করে বলেন পরীক্ষার নোট দেবার জন্য তোমার ম্যাডাম বসে আছে। আমি গিয়ে দেখি কেউ নেই। স্যার একা বসে আছে। আমাকে একটা অংক করতে দিয়ে তিনি বের হয়ে যান। আমি অংক করতে করতে স্যার ক্লাস রোমে ডুকে দরজা বন্ধ করে দেয়। তারপর আমার উপর ঝাপিয়ে পড়ে। আমি চিৎকার করতে থাকি। এক সময় সামনের দোকানে থাকা কিছু লোক আমাকে উদ্বার করে।
হাজী দলিল আহাম্মদ বলেন, বিদ্যালয়ের সামনে দোকানে বসে ছিলাম। চিৎকার শুনে দৌড়ে গিয়ে দেখি দরজা বন্ধ। দরজা বারি দিয়ে খুলে যা দেখলাম এটা শিক্ষকের কাজ না। মেয়েটাকে উদ্বার করে বাড়ি পৌছিয়ে দিয়েছি। শিক্ষক হারুন পালিয়ে পালিয়ে যাই। এই বিদ্যালয়ে আগেও অনেক ঘটনা ঘটেছে। আমরা এর প্রতিকার চাই।
এলাকাবাসী প্রতিবেদকে জানায়, এই শিক্ষকই শুধু নয়, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছৈয়দ হোছন এধরনের ঘটনার সাথে জড়িত। তিনি অনেক মেয়ের শীলতাহানী করেছে। এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ কিছু বলতে পারেনা। যারা বলেন তাদের বিদ্যালয় থেকে বহিস্কিত করেন।
জুইয়ের মামা আবুল কালাম জানান আমরা হয়রানির শিকার হলেও কোন প্রতিকার পাইনা। কারন তারা প্রভাবশালী। বিদ্যালয়ের জমি তাদের বাপ দাদার দান করার জায়গা।
এ ব্যাপারে জুইয়ের বাবা মা বলেন, আমার মেয়ে শিক্ষকের হাতে শীলতাহানীর শিকার হলে অামরা অভিভাবকরা কোথায় যাব? আমরা শিক্ষক হারুনের বিচারের জন্য প্রশাসনের হস্তেক্ষেপ কামনা করছি।
স্হানীয় জনপ্রতিনিধি জয়নাব বেগম লিপি বলেন, ঘটনা আমি শুনেছি। এধরনের ঘটনা এর আগেও এই শিক্ষকরা করেছে। বিভিন্ন ভাবে ধামা চাপা দিয়ে গেছে। শয়ং প্রধান শিক্ষাক ছৈয়দ হোছন ছাত্রীদের সাথে এ ধরনে শীলতাহানী করেই চলেছে প্রতিনিয়ত। আমি অভিভাবকদের সাথে আলোচনা করে নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে বসে ব্যবস্হা গ্রহন করব।
এ বিষয়ের প্রধান শিক্ষক ছৈয়দ হোছনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি এখন কথা বলতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেন।
এলাকাবাসী শিক্ষক হারুন কে এলাকায় পেলে জুতা পেটা করবে বলে ক্ষুদ্ব প্রতিক্রীয়া ব্যাক্ত করেন।
মন্তব্য করুন