।।মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন।।
জনাব অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরীর সাথে এই জীবনে আমার দু’বার কথা হয়েছিল। প্রথমবার আমার বিয়ের দিন কনে পক্ষের অতিথি হয়ে আমার শ্বশুরালয়ে অনুষ্ঠিতব্য বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার সুবাধে। বউ নিয়ে সুসজ্জিত গাড়িতে চড়ে রওয়ানা হওয়ার প্রাক্ষালে হঠাৎ-ই কাছে এসে শুভ কামনা জানিয়েছিলেন এবং ওটাই ছিল বিয়ের সময় কারো কাছ থেকে পাওয়া প্রথম শুভ কামনা। এরপর ২০১৭ কি ১৮ সালে, আমি তখন মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, কক্সবাজার শাখায় কর্মরত। আমার প্রাণের দোস্ত আবছারের সাথে ব্যাংকে গিয়েছিলেন। অনেক কথাবার্তা হয়েছিল সেদিন। মূল্যায়ণটা নিখাদ ভদ্রলোকের কাতারে পড়ে। স্মার্ট আচরনের সাথে মার্জিত ব্যবহারের দিকটা যে কারোরই মনে তাঁর প্রতি একটা ভাললাগা এবং ভালবাসা তৈরী করবেই। আমার বেলায়ও একই ঘটনা ঘটেছিল বলে এই ভদ্রলোকের প্রতি আমার দূর্বলতাটা এখনো হৃদয়ে বিচরণ করে।
উখিয়ার ঐশ্বর্যময় রাজনৈতিক পরিবারে জন্ম নেওয়া উচ্চ শিক্ষিত এই খ্যাতিনামা ব্যক্তিত্ব রাজনীতির পাশাপাশি নিজেদের প্রতিষ্ঠিত বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছামুজিব মহিলা কলেজ-এ প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই অধ্যক্ষ হিসেবে সুনামের সহিত দায়িত্বপালন করে আসছেন। অতিসম্প্রতি কলেজটি সরকারীকরণ হওয়ার পেছনে যেমন রয়েছে তাঁর অনবদ্য পরিশ্রম এবং আন্তরিক ভূমিকা, তেমনি অতি অল্পসময়ে এই কলেজের প্রশংসনীয় অগ্রযাত্রায়ও রয়েছে তাঁর চৌকশ ও বুদ্ধিদীপ্ত পরিচালনার দক্ষতা। নিঃসন্দেহে কলেজটির সুখ-দুঃখের আপাদমস্তক ইতিহাসে পরিবারের সাথে তাঁর নিজের নামটিও লেখা থাকবে স্বর্ণাক্ষরে।
জনাব অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী দীর্ঘদিন উখিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের কান্ডারী হয়ে বিএনপি অধ্যুষিত একটি এলাকাকে নিয়ে গেছেন আওয়ামীলীগের শক্ত ঘাঁটির কাতারে। সুনিপুন নেতৃত্ব এবং মার্জিত আচার আচরনের কারনে আওয়ামীলীগের সকল স্তরের নেতাকর্মীর কাছেও তিনি এক জীবন্ত আদর্শ। সফলতার সহিত উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর তৃণমূলের প্রত্যক্ষ ভোটে সভাপতির দায়িত্বে আছেন ক’বছর ধরে। তাঁর সাংগঠনিক দূরদর্শিতার কারনে উখিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের অভ্যন্তরে যে ঐক্য দৃশ্যমান তা অতীতে কখনো এত প্রশংসনীয় ছিলনা।
এসব প্রশংসনীয় ভূমিকা এবং গুণাবলীর কারনে যখনই নতুন কোন দুঃসময়ে তৃণমূলের মতামতের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়, তৃণমূল কখনোই তাঁর প্রতি অবিচার করেনি। সম্প্রতি উখিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের একক প্রার্থী নির্বাচন করার প্রক্রিয়ায় তৃণমূলের সর্বোচ্চ ভোট পাওয়াটা ছিল নেতাকর্মীর কাছে তাঁর গ্রহণযোগ্যতার একটি জ্বলন্ত উদাহরন।
সময় এসেছে দলের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারকারী উচ্চ শিক্ষিত, মার্জিত এবং গ্রহণযোগ্য এই নেতাকে মূল্যায়ণ করার। দাবীটা কেবল আমার একার নয়, উখিয়া উপজেলার সর্বস্তরের জনতার, সর্বস্তরের নেতাকর্মীর। কারন, দলের জন্য তাঁর ত্যাগের চেয়ে প্রাপ্তীর পরিমানটা খুবই নগন্য। দলের এই সুসময়ে যদি তাঁকে মূল্যায়ণ করা না হয় তাহলে নেতাকর্মীদের মনে হতাশার জন্ম নিলে সেটা অস্বাভাবিক কিছু হবে বলে আমি মনে করিনা। তাই জনগন এবং তৃণমূল আওয়ামী নেতাকর্মীদের এখন একটাই চাওয়া কেন্দ্রীয় হাই কমান্ড তাদের রায়কে মূল্যায়ণ করুক। আমরাও চাই, তৃণমূলের ভোটে অন্যদের চেয়ে যোজনীয়ভাবে এগিয়ে থাকা সময়ের এই সাহসী এবং যোগ্য নেতাকে আসন্ন উখিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীকের একক প্রার্থী হিসেবে ঘোষনা করা হউক। তবেই হবে ত্যাগের বিপরীতে যথার্থ প্রাপ্তী।
শুভ কামনা এবং ভালবাসা নিরন্তর।
লেখকঃ ব্যাংকার।
মন্তব্য করুন