ক্রীড়া ডেস্ক : খ্যাতিমানদের যেন মৃত্যুর মিছিল শুরু হয়েছে। ডিয়েগো মারাদোনা, আলেসান্দ্রো সাবেয়ার পর, এবার বিদায় নিলেন ইতালির কিংবদন্তি ফুটবলার পাওলো রসি। ৬৪ বছর বয়সে মারা যান তিনি। ১৯৮২ সালে ইতালির বিশ্বকাপজয়ী দলের সেরা খেলোয়াড় ছিলেন রসি। ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যক্তিত্ব হিসেবে বিবেচিত এই মহানায়ক।
ইতালিকে পরম আনন্দের এক দিন উপহার দিয়েছিলেন তিনি। ৪৪ বছরের শিরোপা খরা কাটিয়ে জিতিয়েছেন স্বপ্নের বিশ্বকাপ। তিনি ১৯৮২ বিশ্বকাপের মহানায়ক পাওলো রসি।
সেই আসরের সর্বোচ্চ গোল তার, সেরা ফুটবলারও তিনি। হ্যাটট্রিক করে প্রবল শক্তিধর ব্রাজিলকে একাই ছিটকে দেন বিশ্বকাপ থেকে। এমনই ছন্দে ছিলেন পাওলো রসি।
তিনি মহানায়ক কেবল এই কীর্তির কারণে নয়। তিনি মহিমান্বিত তার ফিরে আসার গল্পের কারণে। যেভানে পতন হয়েছিল তার, তারপর এতোটা প্রতাপ নিয়ে ফিরে আসা যুগে যুগে দেখা যায়না। রসি দেখিয়েছিলেন এভাবেও ফিরে আসা যায়। ‘
১৯৭৯-৮০ মৌসুমে ফিক্সিং এর দায়ে দু বছর নিষিদ্ধ হন রসি। যদিও আমৃত্যু তিনি নিজেকে নির্দোষ বলেই দাবি করেছেন বলেছেন অবিচারের শিকার হয়েছেন তিনি। রসি হয়তো নির্দোষই ছিলেন। আর তাই ভেতরে চলছিলো তীব্র দহন। যে অনল ছড়িয়ে পড়ে ৮২’র বিশ্বকাপে। তার অনবদ্য ফুটবলশৈলী ইতালিকে প্রায় অর্ধশতক পড়ে জেতায় বিশ্বকাপ।
এই ট্রফি ইতালিয়ানদের গৌরাবান্বিত করেছিল। আর পুলক ছড়ায় পৃথিবী জুড়ে। ফুটবল বিশ্ব যার পদচারণায় প্রকম্পিত হতো, সেই পাওলো রসি বেদনার ছটায় রাঙিয়ে চলে গেলেন। তার স্ত্রীর ইনস্টাগ্রাম পোস্টে প্রথম বিশ্ব জানে এই দু:সংবাদ।
পোস্টে ছবির সাথে লেখা ছিল কেবল একটি শব্দ- চিরতরে। সত্যিই কি চিরতরে বিদায় নিলেন রসি, নাকি অম্লান হয়ে থাকবেন স্মৃতির পাতায়!
মন্তব্য করুন