ডিবিডিনিউজ২৪.কম : গত ২৪ ঘণ্টায় (রোববার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) দেশে নতুন করে ১ হাজার ৩৪ জনের দেহে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট শনাক্ত হলেন ১৫ হাজার ৬৯১ জন।
মৃত্যুবরণ করেছেন নতুন করে ১১জন। তাদের মধ্যে ৫ জন পুরুষ ও ৬ জন নারী। মৃতদের মধ্যে ৫ জন পুরুষ এবং ৬ জন নারী। জেলাভিত্তিক বিশ্লেষণে ঢাকার ৮ জন, চট্টগ্রামের ২ জন এবং রংপুরের ১ জন। এ নিয়ে মোট প্রাণহানি হলো ২৩৯ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ২৫২ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৯০২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনের নেয়া হয়েছে ১৮৩ জনকে এবং আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৬২ জন।
যারা কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড় পেয়েছেন তারা সম্পূর্ণ সুস্থ এবং স্বাভাবিক। তারা স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পারবেন। তবে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরামর্শ থাকবে, তারা যেন এখনও নিজ ঘরে থাকেন।
সোমবার (১১ মে) দুপুরে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য তুলে ধরেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ৭ হাজার ২৬৭ টি নমুনা সংগ্রহ হয়েছে। নতুন-পুরাতন মিলিয়ে ৭ হাজার ২০৮ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। দেশের মোট ৩৭টি ল্যাবে এই পরীক্ষাগুলো করা হয়েছে। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১ লাখ ২৯ হাজার ৮৬৫ টি।
রোববার (১০ মে) শনাক্ত হয় ৮৮৭ জন এবং মারা যান ১৪ জন।
দেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনাভাইরাসের রোগী শনাক্ত হলেও প্রথম মৃত্যুর খবর আসে ১৮ মার্চ। দিন দিন করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ায় নড়েচড়ে বসে সরকার। ভাইরাসটি যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য ২৬ মার্চ থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয় সব সরকারি-বেসরকারি অফিস। কয়েক দফা বাড়ানো হয় সেই ছুটি, যা এখনও অব্যাহত আছে। পঞ্চম দফায় সেই ছুটি বাড়ানো হয় ৫ মে পর্যন্ত। তার আগেই আরেক দফা ছুটি বাড়িয়ে ১৬ মে পর্যন্ত করা হয়।
২৪ ঘণ্টায় সাড়ে তিন হাজার প্রাণহানির পর বিশ্বজুড়ে এখন করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মৃতের সংখ্যা দু’লাখ ৮৪ হাজার। নতুন সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ৮১ হাজার; সব মিলিয়ে মোট আক্রান্ত ৪২ লাখ।
দেড় মাসের মধ্যে করোনাভাইরাসে সর্বনিম্ন সংক্রমণ ও মৃত্যু দেখলো যুক্তরাষ্ট্র। ৩০ মার্চের পর প্রথম, মার্কিন ভূখণ্ডে এক হাজারের কম প্রাণহানি ছিল রোববার (১০ মে)। মারা যান সাড়ে ৭০০ মানুষ। নতুন আক্রান্ত ২০ হাজারের বেশি। যা ২৯ মার্চের পর সর্বনিম্ন। এ নিয়ে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮১ হাজারে। আক্রান্ত ১৩ লাখ ৬৮ হাজার।
যুক্তরাষ্ট্রের পর এদিন সর্বাধিক মৃত্যু দেখেছে লাতিন আমেরিকার দুই দেশ- ব্রাজিল ও ইউকুয়েডর। যদিও গত কয়েকদিনের তুলনায় দেশ দু’টিতে নতুন সংক্রমণ ও মৃত্যু ছিল অনেকটা কম।
এখন পর্যন্ত ১১ হাজারের বেশি প্রাণহানি হয়েছে মহামারির নতুন কেন্দ্র ব্রাজিলে। আক্রান্ত এক লাখ ৬৭ হাজার।
যুক্তরাজ্য, ইতালি, স্পেন, ফ্রান্সসহ ইউরোপের সব দেশেই উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে প্রাণহানি।
মন্তব্য করুন