ডিবিডিনিউজ২৪ ডেস্ক :
আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে-আইসিজে গাম্বিয়ার দায়ের করা মামলার অন্তবর্তী রায় দেবার সময় এ নির্দেশ দেন বিচারকেরা। অবশেষে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত স্বীকৃতি দিয়েছে রোহিঙ্গারা গণহত্যার শিকার জাতিগোষ্ঠী।
নেদারল্যান্ডের দ্য হেগে অবস্থিত আদালতটি, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী কিংবা অন্য যেকোন নিরাপত্তা বাহিনী যেন রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে কোন গণহত্যায় না জড়ায়, উষ্কানি না দেয়, কিংবা নির্যাতনের চেষ্টা না করে সেজন্য ব্যবস্থা নিতে দেশটিকে নির্দেশ দেন।
রোহিঙ্গাদের সুরক্ষার জন্য মিয়ানমারের গৃহীত ব্যবস্থাগুলো আগামি চার মাসের মধ্যে একটি রিপোর্ট আকারে আদালতের সামনে উপস্থাপন করতে হবে।
এই মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত প্রতি ছয় মাস পর পর আদালতকে বিষয়টি অবহিত রাখতে হবে।
বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিকভাবে চেষ্টা চালিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত মিয়ানমার কাউকে ফেরত নেয়নি।
আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে মামলা করার প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল রোহিঙ্গাদের ওপর যে নির্যাতন হচ্ছে, সে ব্যাপারে বিশ্বব্যাপীকে কিছু করার জন্য তাগিদ দেয়া।
রোহিঙ্গাদের উপর চালানো নৃশংসতাকে গণহত্যা আখ্যা দিয়ে গত বছরের ১১ নভেম্বর আইসিজেতে মামলা দায়ের করে আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া।
নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগের পিস প্যালেসে গত বছরের ১০ থেকে ১২ ডিসেম্বর মামলার শুনানি চলে।
শুনানিতে গাম্বিয়ার পক্ষে মামলার প্রতিনিধিত্ব করেন দেশটির বিচারমন্ত্রী আবুবাকার তাম্বাদু।
মিয়ানমারের নেতৃত্ব দেন দেশটির সরকার প্রধান অং সান সু চি। সেখানে তিনি তার দেশের বিরুদ্ধে আনা গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করেন।
মন্তব্য করুন